মায়ের পরকীয়ার বলি হয়েছে দুই কিশোরী।

 মায়ের পরকীয়ার বলি হয়েছে দুই কিশোরী।   

Man girl Photo


 পথের কাটা সরিয়ে দিতে ভাড়াটে কিলার দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। 


সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দু’জনের কথাবার্তায় এ তথ্য মিলেছে। 

হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার সন্দেহে বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

ঈদের জামা কিনে দেয়ার কথা বলে ২৮শে এপ্রিল পিতা হামিদুর রহমান তার দুই মেয়ে হাসি আকতার (১২) ও খুশি আকতার (১৩) কে তালাকপ্রাপ্ত মা আদুরী বেগমের বাড়ি থেকে নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আসে। 

দু’জনের তালাকের পর নিহতের মা আদুরী বেগম গ্রামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার দুই মেয়ের কারণে সে অবাধে মেলামেশা করতে পারতো না।

 মা আদুরী বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক ভাড়াটে কিলার দিয়ে দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দেয়।

 এ ঘটনার দু’দিন পর ১লা মে গ্রামবাসী লাশ দু’টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। 
নিহতের দাদি ও মামলার বাদী কুড়িগ্রামের বজরা গ্রামের বাসিন্দা খোতেজা বেগম জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরিতাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে করেন আদুরী বেগমকে।

 বিয়ের পর থেকে সংসারে খুটিনাটি বিষয়ে অশান্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের দু’টি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়

অবশেষে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী হামিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। 
বাধ্য হয়ে মেয়েদেরকে নিয়ে আদুরী তার পিতার বাড়ি কুড়িগ্রামের বজরা গ্রামে আশ্রয় নেয়। 
তালাকের পর হামিদুল ইসলাম তার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরিতাবাড়ি গ্রামে পৃথকভাবে বাস করতে থাকে। 
তালাকের পর থেকে আদুরী বেগম বজরা গ্রামের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সে তার মেয়ে দু’জনকে সরিয়ে দিতে পথ খুঁজতে থাকে। সুযোগও এসে যায় হাতের মুঠোয়। 
ভাড়াটে খুনিরা তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। দু’দিন নিখোঁজের পর সুন্দরগঞ্জের হরিপুর গ্রামের তিস্তা নদীর পাড়ে ওই দুই মেয়ের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়।

 পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মানস রঞ্চন রায় জানান, ঘটনার পরদিনেই নিহতের মা আদুরী বেগম ও বাবা হামিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। 

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনী বেড়িয়ে আসে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আরও তথ্য থাকতে পারে সেজন্য তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

তদন্তে বেড়িয়ে আসবে হত্যার সঙ্গে আরও কারা জড়িত ছিল। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ে করা হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

পাত্র চাই চাকরিজীবী অথবা বিজনেসম্যান হলে ভালো হবে ঢাকার স্থানীয় পাত্র হতে হবে।

আলেমা পাত্রীর জন্য পাত্র চাই নওগাঁ জেলার তথ্য প্রয়োজন ।

অবিবাহিত পাত্র চাই সুন্দরী পাত্রী জন্য ঢাকার স্থানীয় পাত্র হতে হবে।